কাজী বিপ্লব হাসান: মুন্সীগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২5 আজ১৫ ই মার্চ পালিত হবে। এ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। ১3 মার্চ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কেন বছরে ২ বার দেয় হয়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা, সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪% হ্রাস করা, হাম জনিত মৃত্যু হার ৫০% হ্রাস করা, ডায়রিয়া জনিত মৃত্যু হার ৩৩% হ্রাস করা ভিটামিন ‘এ’ প্লাস এর কাজ। তিনি আরও বলেন, জন্মের পরই নবজাতককে শালদুধসহ মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েদের বেশি পরিমানে ভিটামিন সমৃদ্ধ রঙিন শাক সবজি এবং হলুদ ফলমূল খেতে দিতে হবে। উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলে মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান,মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি জসিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সৌরভ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মীর বাছির উদ্দিন জুয়েল, সাবেক সভাপতি কাজী সাব্বির আহমেদ দিপু, সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ খোকাসহ ৩০ জন সংবাদকর্মী। মুন্সীগঞ্জের 6 টি উপজেলার এ বছর সর্বমোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৪৬২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী 2৬ হাজার ৮৪৪ জন শিশুকে ১টি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লক্ষ ৮০ হাজার 6১৮ জন শিশুকে ১ টি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মুন্সীগঞ্জের 6 টি উপজেলার মোট স্থায়ী কেন্দ্র 6 টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ১৬০৬টি, ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ২৩ টি। ৬টি উপজেলায়, ১৫০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২২১ জন পরিবার কল্যান সহকারী, সি এইচ সিপি ১১৭ জন এবং ৩2৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের এই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়াবেন।