স্টাফ:আলু উৎপাদনের শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। তবে সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। রোগের শঙ্কায় আগাম বালাইনাশক ছিটাচ্ছেন কৃষক । রোপন বিলম্বিত হওয়ায় কাঙ্খিত ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক ৷ আলুর জমিগুলো এখন ঘন সবুজ। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন পুরো এলাকায় সবুজ কার্পেট বিছিয়ে রাখা। মৌসুমের শুরুতেই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টি জেলায় এবার আলু চাষে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে । তারপরও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চাষিরা গাছের পরিচর্যার এখন ব্যস্ত। চাষ বিলম্বিত এবং দ্বিতীয় দফা রোপনে বীজের মান ভালো না হওয়ায় উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিায় তারা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই জেলায় আলু চাষ শেষ হয়েছে। তাই মার্চের মাঝামাঝি আলু তোলার হিড়িক পড়বে। তবে বাজারে আলু এখন ৩৫ টাকা কেজি। আর খরচ পড়েছে প্রায় ২০ টাকা। কৃষকের অভিযোগ- সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত কৃষক এর সুফল পাচ্ছেন না । আর ভোক্তাদের দাবি বাজার মনিটরিংযের অভাবে এখনও মধ্যসত্ত্বভোগীদের হাতে আলুর বাজার। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষকদের আগাম বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, জেলার প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার আলুভিত্তিক অর্থনীতির উপর প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। জেলায় এবছর ৩৪ হাজার ৩শ্ব ৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন।