আজ ২রা বৈশাখ মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের পহেলা বৈশাখ উৎযাপন

আজ ২রা বৈশাখ মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের পহেলা বৈশাখ উৎযাপন

কাজী বিপ্লব হাসান: অথচ বাংলাদেশে সরকারি ঘোষিত পহেলা বৈশাখকে না মেনে হিন্দু সম্প্রদায় পঞ্জিকা ও কলকাতাকে অনুসরণ করে বৈশাখ উদযাপন করে। হিন্দু সম্প্রদায় পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা মঙ্গলযাত্রা নামে আখ্যায়িত্ত করে কিন্তু  তারা তা না মেনে দ্বিতীয় দিন উদযাপন করেণ। স্বভাবতই প্রশ্ন হলো তাদের দেশ প্রেম বাংলা নাকি কলকাতা এ সম্পর্কে কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আলাপ আলোচনা করলে তার বলেন, আমরা পঞ্জিকা কলকাতাকে অনুসরন করে হালখাতা বা বৈশাখী যাবতীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। আমরা মুসলিম সম্প্রদায় তো তাদের কোন আনুষ্ঠানিকতায় বাধা প্রদান করি না। অথচ ঐ সম্প্রদায় বাঙালী ঐতিহ্য বা মুসলিম অনুষ্ঠানকে বাঁকা চোখে দেখে।

জনমানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

এবারের পয়লা বৈশাখের এই বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। গতকাল সকাল  ৮টায়   ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নিলেন দেশের মানুষ। গ্রাম থেকে শহর, সমতল থেকে পাহাড় সারা দেশেই উৎসবের আমেজে উদ্‌যাপিত হয়েছে পয়লা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশের মানুষ সর্বজনীন এ উৎসবে অংশ নিয়ে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠেন।

বাঙালির প্রাণের উৎসব ছড়িয়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙিয়েছেন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষও। শোভাযাত্রা, লোকজ সংস্কৃতি, নাচ-গান, আবৃত্তি সবই ছিল এসব আয়োজনেভোর থেকে রাত পর্যন্ত এসব উৎসবে মানুষের পদচারণ ছিল। পুরোনো ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে সবার কল্যাণ কামনায় উদ্‌যাপিত হয় নববর্ষের এসব উৎসব। নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে বহুকণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়েছে। ফলে এবারের উৎসবের আয়োজনে কিছুটা ব্যতিক্রমও ছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *