নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। দম্পতির পাঁচ বছরের আলিফা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই হাশেদা বেগম তার স্বামী আশরাফুল রহমান ও তার দুই ভাবি বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আত্মহত্মা করার জন্য উসকানি দিত।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদের আগে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে। গত কুরবানী ঈদের পর বোনের সুখের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি গরু কিনে দেন নিহত হাশেদা বেগমের ভাই নূর মোহাম্মদ ঢালী। সেই গরু এক বছর লালন-পালন করে ঈদে বিক্রি করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ঈদের দিন সেই টাকা থেকে ভাইয়ের টাকা চেয়েছেন স্ত্রী হামেদা বেগম। কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে উল্টো গরু বিক্রির সমস্ত টাকা দিয়ে দেন আশরাফুল তার ভাবীদের কাছে। এই নিয়ে বাদে ঝামেলা। এতে রাগ-ক্ষোভের একপর্যায়ে কীটনাশক পান করে। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে। পরদিন শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে মারা যায় হাশেদা বেগম।
নিহতের ভাবি তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ননদকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে বাধ্য করা হয়েছে বিষ পানে। ননদের সুখের জন্য প্রথমে তিন ভরি স্বর্ণ, স্টিলের আলমারি ও একটি মিশুক কিনতে টাকা দিয়েছি। তার পর গরু কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু সুখ হলো না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আর তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।