মো: রুবেল মুন্সীগঞ্জ: ইলিশ জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। আর ইলিশ মাছ সংরক্ষনের জন্য সরকার ১নভেম্বর থেকে ৩০জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা, বহণ, বিক্রি ও সংশ্লিষ্ট কাজে সহযোগিতা করার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন।
সোমবার সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংঙ্গীবাড়ি উপজেলার আলদি বাজারের উত্তর পাশের রাস্তায় দুইটি মিশুক থেকে প্রায় ৩০০ কেজি জাটকা মাছ আটক করে লোকজন ও সংবাদকর্মীরা। জাটকা মাছ আটক করার সাথে সাথে টংগীবাড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ নিগার সুলতানাকে তাৎক্ষনিক অবহিত করা হয়। তিনি টংঙ্গীবাড়ি মৎস্য অফিসের আশানন্দ বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আশানন্দ বিশ্বাস ঘটনা স্থলে পৌছতে দেরি হওয়ায় কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সামসুদ্দিন আটককৃত জাটকা মাছগুলো জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং জাটকা ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেন। সামসুদ্দিন মেম্বার উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণও করেন।
সংবাদকর্মীরা জানান, কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সামসুদ্দিন আলদিবাজারের উত্তর পাশে আটককৃত অবৈধ জাটকা মাছগুলো জোড়পুর্বক ভাবে নিয়ে যান এবং জাটকা ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দেন। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে জাতীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু সেটি না করে তিনি জাতীয় সম্পদ ইলিশ নিধনে সহযোগিতা করেছেন। এমন আচরণ একজন জনপ্রতিনিধির কাম্য নয়।
এ বিষয়ে সামসুদ্দিন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি না।
মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল বলেন, কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার জাটকা মাছ ছেড়ে একটি অপরাধ করেছেন। অপরদিকে সংবাদকর্মীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেছেন। যা তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটি করতে পারেন না। এ জন্য তার জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এ বিষয়ে টংঙ্গীবাড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ নিগার সুলতানা বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ চেয়েছি। সংবাদকর্মীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।