একমি মুন্সীগঞ্জ দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৪ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী
কাজী বিপ্লব হাসান : একমি মুন্সীগঞ্জ দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৪ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্ট্রেডিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট খেলায় ৭টি দলের হয় অংশগ্রহন করেন। এই দলগুলেকে ২টি গ্রæপে বিভক্ত করা হয়। ‘ক’ গ্রæপে ছিলেন এ্যামেচার ক্রীড়া একাডেমী, লিজেন্ড অব মুন্সীগঞ্জ ও প্রগতি সংঘ এবং ‘খ’ গ্রæপে ছিলেন স্বপ্ননীড় ক্রীড়া একাডেমী, নবযাত্রী ক্লাব, গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার ও আজাদ স্পোটিং ক্লাব। দু’টি গ্রæপ থেকে দু’টি দল ফাইনাল খেলে। যারা হলো এ্যামেয়েচার ক্রিকেট ক্লাব ও গ্রীণ ওয়েল ফেয়ার সেন্টার।
গতকাল এই দুটি দলেরে মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আলহাজ্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়াসংস্থার সভাপতি মোঃ আবু জাফর রিপন বিপিএএ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (নেজারত) ওমর শরীফ ফারুক, মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জুনায়েদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক স্বপন, জেলা ক্রীড়া অফিসার খাদিজা পারভীন প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় এ্যামেয়েচার ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে গ্রীণ ওয়েল ফেয়ার সেন্টারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। আলোচনাশেষে এ্যামেয়েচার ক্রিকেট ক্লাবকে অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও গ্রীণওয়েল ফেয়ার সেন্টারকে রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, খেলাধুলা মানুষকে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করে। যদি কারো শরীরের ক্ষতি হয় তাহলে সে কিছু হারায়। যদি কারো অর্থের ক্ষতি হয় তাহলে সে কিছুই হারায় না। কিন্তু সে যদি চরিত্র হারায় তাহলে তার সব কিছু হারিয়ে যায়। আর খেলাধুলার মাধ্যমে চরিত্র ও মন সুস্থ্য রাখা যায়। তাই একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠতে খেলাধুলার বিকল্প নাই।
সভাপতির বক্তব্যে আবু জাফর রিপন বিপিএএ বলেন, আজকে আমরা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ সম্পন্ন করতে পেরেছি। স্থানীয় খেলোয়াড়দেরকে এতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামের ছেলেরাও জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে। এই খেলাটির ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। খেলার ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে আমাদের যে লক্ষ তা সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ফলে গ্রাম থেকেও জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরী হবে। যদি সাকিব আল হাসানের কথা বলি। সাকিব আল হাসান কিন্তু গ্রামেরই ছেলে ছিল। সে আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অবদান রাখছে।