অপর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাইদ খুদরি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যেসব দুঃখ-কষ্ট, রোগব্যাধি, উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা, দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এসবের দ্বারা আল্লাহ তাআলা তার গুনাহগুলো মাফ করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩১৪)
কল্যাণ লাভ : ধৈর্য মুমিনের মহৎ গুণ।
ধৈর্য সফলতার চাবিকাঠি। ধৈর্যের অনুশীলন ছাড়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। দুঃখ-কষ্ট ও উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার সময় ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। সুহাইব (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের বিষয়টা বড়ই আশ্চর্যজনক! যখন তার সুখের কিছু হয়, আর সে শোকরিয়া আদায় করে, সেটাও তার জন্য কল্যাণকর।
আবার যদি কোনো কষ্টের কিছু হয়, আর সে ধৈর্য ধারণ করে, সেটাও তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। সব কিছুর মধ্যে তার কল্যাণই কল্যাণ।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)
সতর্ক হওয়ার সুযোগ : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণেই দুনিয়ায় বিপর্যয় ও বিপদ-আপদ দেখা দেয়, যাতে মানুষ তাদের কৃতকর্মের কিছু শাস্তি ভোগ করে এবং যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১)
সঠিকটা বাছাই করা : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “মানুষ কি মনে করে যে ‘আমরা ইমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে? আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। অতঃপর আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দেবেন কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যাবাদী।” (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ২-৩)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন