কাজী বিপ্লব হাসান: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে আলু আবাদের পরপরই আগাম ইরি-২৯ ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় আলুর পাশাপাশি আগে ব্যাপক পরিমাণে ধান রোপণ করা হতো কিন্তু আলুর মূল্য বেশি থাকায় এবার ধান রোপণ একটু কম করা হচ্ছে। তারপরও এবার উপজেলায় ২৫শ ১৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করার লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে যা গত বছরের তুলনায় একটু কম। কৃষক মহিউদ্দিন ঢালী জানান, বিগত বছরগুলোতে আলুর মূল্য কম থাকায় আমরা বেশি করে ধান আবাদ করতাম কিন্তু এবার আলুর মূল্য বেশি থাকায় সাড়ে আট গন্ডা জমিতে ধান আবাদ করছি। কিন্তু আমাদের সব সময় চিন্তায় থাকতে হয় ধানের বিভিন্ন রোগ বালাই নিয়ে। কারণ ধানের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয় যেটা আমরা প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে বুঝতে পারিনা। ফলে ফলন কম হয়। আগে আমাদের এই জমিগুলোতে ঘন্ডা প্রতি ৬ মণ করে ধান হতো কিন্তু বিগত দিনগুলোতে নিত্য নতুন রোগ বালাই আশায় জমিতে ধানের ফলন কম হচ্ছে ও প্রতি ঘন্ডায় ৪ থেকে ৫ মণ ধান পাচ্ছি যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটা কম। আমাদের দাবী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যারা ইউনিয়ন ভিত্তিক কাজ করেন তারা যদি বিভিন্ন সময় ঘুরে ঘুরে আমাদের জমিগুলো দেখে সঠিক পরামর্শ দেন তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো বলে আশা করি। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জয়নুল আলম তালুকদার জানান, কৃষক আমাদের নিকট যে কোনো পরামর্শের জন্য সর্বদা যোগাযোগ করতে পারে। আমাদের মোবাইল সর্বদা খোলা থাকে। তাদের জমির যে কোনো সমস্যা আমাদের জানালে আমাদের যারা উপ-সহকারী আছে কোনো ইউনিয়নে কৃষকের জমিতে আবাদ করা ফসলের কোনো রোগ বালাই এর খবর পেলে তাৎক্ষণিক নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে সমস্যা দেখে ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।