কাজী বিপ্লব হাসান: আসন্ন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে এবার ২ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছেন মো: হুমায়ুন কবির। তার নিবাস মালপাড়া। তিনি সরকারের একটি জরুরী বিভাগ পুলিশ ডিপারমেন্টে চাকরী করেছেন। বর্তমানে অবসর নিয়ে একটি পত্রিকায় যুক্ত হয়ে সাংবাদিকতা করছেন। তার পিতা আবদুস সামাদ ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পৌর কমিশনার ছিলেন। সে হিসেবে বলা যায় পিতার সূত্র ধরেই তিনি এবার পদপ্রার্থী হয়েছেন। তার দুই ভাই ও সরকারী চাকরি করছেন। তিনি নিজে বি.এ এল এল বি পাশ। তাই বলা যায় তিনি একটি শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। তার সাথে সাক্ষাৎ কালে জানা গেল তিনি এবার ব্রীজ প্রতীক নিয়ে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবার নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হয়েছেন কেন? এর উত্তরে হুমায়ুন কবির বলেন, আমি সরকারী চাকরি করেছি। সরকারী চাকরি করে জনগনের সেবা করার সুযোগ কম। তাই অবসর নিয়ে এবার এলাকাবাসীর সেবাকার্যে নিজকে নিয়োজিত রাখার জন্য কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছি। আপনি এলাকার কেমন সমর্থন পেয়েছেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমার এলাকার জনগনের সমর্থন নিয়েই এবার প্রার্থী হয়েছি। জনগন একজন শিক্ষিত মার্জিত লোকদের নির্বাচিত করতে চায়। যাতে সে জনগনের দু:খ কষ্ট বুঝতে পেরে তাদের সেবা করতে পারে। কেউই চায়না একজন অশিক্ষিত লোক কাউন্সিলর হোক। তাহলে সে জনগনের সেবার মানই বুঝতে পারবে না। তাই এলাকার জনগনের শতভাগ সমর্থন আছে আমার প্রতি। বর্তমান যুব সমাজ মাদক দ্বারা প্রভাবিত। তাছাড়া বাল্য বিবাহ ও নারীদের প্রতি ইভটিজিং বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনি কী পদক্ষেপ নিবেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ২ নং ওয়ার্ড টি একটি শিক্ষিত এলাকা। তারপরও ইদানিং বহিরাগত কিছু লোক এসে বসবাস করছে। যার দরুন মাদকের প্রভাব বেড়ে গেছে। আমি এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সহায়তায় কঠোর পদক্ষেপ নিব। যুবকদের সৎপথে ফিরিয়ে আনা, মাদকদের দূরে রাখার জন্য এ ধরনের নেশা দ্রব্য যেন এলাকাতে বিক্রি না হতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। এ কাজটি এলাকার সকলকে নিয়েই করব যাতে সকলেই বুঝতে পেরে নিজ সন্তানদের প্রতি সতর্ক হয়। তাতে এলাকা মাদক মুক্ত হতে পারবে আশা করি, ইভটিজিং ও এলাকা থেকে কমে যাবে। এবারের নির্বাচন কেমন হবে বলে আপনি মনে করেন? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আশা করি এবারে নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবেই হবে। জনগন নিজ হাতেই পছন্দের লোককে ভোট দিতে পারবে। তাই আশা করি এভাবে ভোট হলে আমি নির্বাচিত হতে পারব।
এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করলে জনগনের জন্য কি করবেন? এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হলো আমি আগেই বলেছি এলাকাথেকে মাদক নিয়ন্ত্রন, ইভটিজিং বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিব এ ছাড়া যদি পাশ করি তাহলে এলাকায় অনেক ডোবা পুকুর আছে যা কেউ কেউ দখল করে নষ্ট করে ফেলছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি এবং সরকার ও রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে ডোবা নালা পুকুর গুলো জোর পূর্বক দখলদার দের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুকুরের পানি পরিষ্কার করে মাছ চাষে সচেষ্ট হবো। এতে এলাকাবাসীর উপকার হবে,পরিবেশ ভাল হবে এবং সরকারে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এলাকার রাস্তা ঘাট ও নতুন করে সংষ্কার করে দিব। যদি এবার নির্বাচনে না জিতেন তাহলে কি করবেন?এ প্রসঙ্গে তার ভাবনা হলো, হার জিত আছেই আমাদের এলাকার ০৭ জন প্রার্থী হতে একজন নির্বাচিত হবেন। তাই এবার নির্বাচিত না ও হতে পারি তবুও এলাকার সেবায় নিজ কে আজীবন নিয়োজিত রাখব। কারন আমি যেই ডিপারমেন্টে চাকরি করেছি সেখান থেকে এই শিক্ষাই গ্রহন করেছি। পারিবারিক ভাবে ও আমি এ শিক্ষা পেয়েছি।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Next Post
Comments are closed.