আলুই বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার একমাত্র অর্থকরী ফসল
আলুর ইতিহাস
গোল আলু মূলত এদেশীয় ফসল নয়। এটি শীত প্রধান দেশের ফসল। গোল আলু প্রাথমিক ভাবে ব্রিটিশরা তাদের দেশে থেকে এদেশে আনেন এবং যে কারণে এখনও অনেকেই গোল আলুকে বিলেতি আলু বলে থাকেন। অনুরূপ ভাবে টমেটোও বিদেশ থেকে আমদানী করা ফসল। প্রায় টমেটো কেও অনেকেই বিলেতি বলে থাকেন। শুধু তাই নয়, ফুল কপি, বাঁধা কপি, ওল কপি, শালগম, গাজর, বিট, লেটুস সহ অনেক ফসলও তরকারী ব্রিটিশদের দ্বারা এদেশে আনিত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায় পলাশির প্রান্তরে, এদেশের স্বাধীনতার সূর্য স্থীমিত হবার পর ব্রিটিশরা দলে দলে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের খাবারের চাহিদা মিটাতে প্রাথমিক ভাবে গোল আলুর চাষ শুরু হয় ভারতের ণৈনিতালে এবং সম্ভবত: ১৭১৮ খ্রি: মুন্সিগঞ্জের রামপাল এলাাকায় প্রাথমিকভাবে গোল আলুর চাষ হয়? এবং ঐ সময় এই সুশ্বাধু আলুটিই শুধু চাষ হতো। চাই ঐ সময়ে এই গোল আলুটি নৈতিতাল (স্থানীয় কথায় : ললিতা আলু) হিসেবেই পরিচিতি ছিল। পরে মুন্সিগঞ্জের আলু চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এখণ বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হতে থাকে। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলায় যেসব জাতের আলু চাষ হয়ে থাতে তার মধ্যে রয়েছে ডায়মান্ড, কার্ডিনাল, এন্টারিক্স, প্রেট্রোনিজ, মাল্টা, সাগিতা, বেনিলা, ড্রানোলা। তবে মুন্সিগঞ্জে ডায়মন্ড আলুর চাষ সবার উর্ধ্বে। প্রায় শতকরা ৯১%।
আলুর বর্তমান অবস্থা :
আলূেই মুন্সিগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল। শুধু মুন্সিগঞ্জের জেলায় আল ূর ফসলের সাথে চাষি, কৃষি মজুর, পরিবহন শ্রমিক, হিমাগার শ্রমিক, কর্মচারী, মালিক, আড়ৎদার, ও আড়ৎ শ্রমিকসহ আলু ব্যবসার সাথে ২০,০০০০ মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। তাই আলুই হচ্ছে মুন্সিগঞ্জ জেলার একমাত্র ব্যান্ডযোগ্য ফসল এবং ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে আলূকে মুন্সিগঞ্জ জেলার ব্যান্ড ফসল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য যিনি সবচেয়ে বেশি উদ্ধোগ নিয়ে কাজ করেছেন তিনি হচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ-এর সুযোগ্য জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা এবং তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন অতিঃ জেলা প্রশাসক হারুন- অর রশিদ । তবে এ বছর সহ বিগত কয়েক বছরই মাঝে মাঝে আলু চাষি ও সংরক্ষণকরীরা আলূ বাজারের ধসের কারণে তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলায় বর্তমানে দুটি ফ্যাকটোরী রয়েছে আলুর পাউডার তৈরির । তবে যদি আলূর পাউডার তৈরির জন্য আরো ফ্যাকট্রোরী স্থাপন করা হয় এবং আলুর পাউডার বিদেশে রপ্তানী করার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এদেশের আলু চাষি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট জনগণ উপকৃত হবেন।