আবু হানিফ রানা: মুন্সীগঞ্জে কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাসুদ খানের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া বাজারের অবস্থিত বিক্রমপুর প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিক মাসুদ খানের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। তিনি মামলার সুষ্ঠ্যু তদন্ত করে হামলাকারীদের বিচারের কথা বলেন।
এ মানববন্ধন ও প্রবিাদ সমাবেশ থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। বক্তাগনব বলেলন, য়ে সময় সারা দেশে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদককারবারী ও সেবনকারীরা আত্ম গোপনে চলে যাচ্ছে, ঠিক সে সময় মিন্টু বেপারী, শিবু শীল ও অপুঘোসের মত মাদকাসক্তরা একজন নির্ভিক ও সৎ সাংবাদিকের উপর এ ন্যাক্কার জনক হামলা চালানোর সাহস পায় কিভাবে?
লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ খান বলেন, শোয়েব ব্যাপারি এখানে একটি বাহিনী গড়ে তোলেছে। তার এ ব্যাহির সদস্যা সব মাদককারবারী ও সেবনকরী। সাংবাদিকের প্রতি প্রধান হামলাকারী শোয়েবের চাচাত ভাই মিন্টু বেপারী একজন মাদকসেবী তা এ এলাকার ৮০ ভাগ লোকেই জানে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢালী মোয়াজ্জেম এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাসেল মাহবুদ বলেন, সাংবাদিক মাসুদ খানের উপর মাদকাসক্তদের এ হামলা ন্যাক্কার জনক। সাংবাদিকরা দুর্বল নয়। এর পরে একটি হামলা হলে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ।
মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ চৌদুরী নুপুর বলেন, মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিকরা এখন এক ও অভিন্ন। তাই কোন প্রকার সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়ভীতিকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা যাবেনা।
শ্রীনগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, হামলাকরীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
সিরাজদিখান প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, নিন্দা ও ধিক্কার জানায় এ হামলা। কি করে একজন সাংবাদিকের উপর এ ধরণের হামলার সাহস পায় সন্ত্রাসীরা।
সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান,
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুষ সালাম, শেখ সাইদুর রহমান টুটুল, দৈনিক আমার সংবাদের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু হানিফ রানা, এম তরিকুল ইসলাম ইমতিয়াজ বাবুল, সালাউদ্দিন সালমান, সাংবাদিক রাজিবুল হাসান জুয়েল, টঙ্গীবাড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর মাঝি, আলোকিত মুন্সীগঞ্জের সম্পাদক মাহবুবে আলম জয়, কালের কন্ঠের জেলা শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক রানা মাসুদ,মাহাবুব আলম জয়, সাংবাদিক রাকিব, শুভ ঘোষ, শহিদুল ইসলাম মনোজ, পাভেল সাহাবুদ্দিন,আব্দুল হালিম, এমারাত হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ গত বুধবার কালের কন্ঠের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ও বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাসুদ খানের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ওই দিন দুপুরে বিক্রমপুর প্রেসক্লাব ভবনের নীচ তলায় এ হামলা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় একটি মিষ্টির দোকানে আবারো সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে।
হামলার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, গত সোমবার লৌহজংয়ের হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদটি গত মঙ্গলবার কালের কন্ঠে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সেখানে লৌহজং থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএম শোয়েবের নাম না থাকায় শোয়েব সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার তারা হলদিয়া বাজারে ব্যাপক হট্ট্রগোল করে। পরে গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিক মাসুদ খান বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের দ্বিতল ভবন থেকে নেমে নীচ তলায় আসলে বিএম শোয়েবের চাচাত ভাই মিন্টু বেপারী, অপু ঘোষ, শীবু শীল সহ আনুমানিক ১০-১২ জন লোক সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় ও তাকে মারধর করে। এ সময় সাংবাদিক মাসুদ দৌড়ে হলদিয়া বাজারের একটি মিষ্টির দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা ওই মিষ্টির দোকানে গিয়ে তাকে আবারো আক্রমন করে এবং লাটিসোটা ও হাতুরী দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। হামলাকারীরা মাসুদ খানের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার(আজ)প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিলের জন্য থাকা খরচের ৫০ হাজার টাকা, গলার থাকা স্বর্ণের চেইন ও হাতের ব্রেস লাইট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও বাজার দোকানদার মানিক লক্ষন ও মনির হোসেন সহ কতিপয় ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
Follow us