বজ্রযোগিনী ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলা
আবু হানিফ রানাঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রনির উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
সাইফুল ইসলাম রনি জানান, একই এলাকার সন্ত্রাসী আওলাদ শেখ (৪৫), নবী হোসেন (৪০), মোয়াজ্জেম শেখ (৩৫) আরিফ (৩৮) গত ২০ শে এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার সময় রামশিং বড়বাড়িতে বিচারের মাঝে অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়। হামলায় গুরতর আহত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রনি, ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নান্নু, মেহেদী হাসান মাকসুদ (প্রবাসী) এবং তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এই মামলার অন্যতম আসামী সুন্দর আলীর ছেলে আব্দুল হক (৭৫), রায়হান শরীফ (৩৮), রশিদ শেখের ছেলে শাকিল (২৭) ও এই হামলার সাথে জড়িত। অভিযোগ কারী বলেন, আব্দুল হক হুকুম দিয়ে এই হামলা ঘটিয়েছে।
বিষয়টি ১মাস অতিবাহিত হয়েছে। ঘটনার একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোতা মিয়া মুন্সী ও উপস্থিত বিচারকগণ বিচার করার কথা বলে মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত হামলার শিকার মামলার বাদী এখনো পর্যন্ত কোন ন্যায় বিচার পাননি। বিচারের কোন লক্ষণ করা যায়নি।
সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে সেই মামলায় সন্ত্রাসী আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রনি জানান, সন্ত্রাসী আরিফ জেল হাজত খেটে জামিনে বের হয়ে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। আরিফের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রনি জানায় বর্তমানে আমিও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি যে কোন ম‚হুর্তে আমার ও আমাদের পরিবারের উপর হামলা করতে পারে এমন আশংকা করছেন সে।
এ ব্যপারে হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের আইসি জানান বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে তোতা মিয়া মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির দ্রæত বিচার করে সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমানের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলাকারী ও মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের দ্রæত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।