হুমায়ুন কবির: রবিবার (১৪ জানুয়ারী ১৮) মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় রামপাল চৌ-গারার পার ও মিরকাদিম মেয়র শাহিনের বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় একটি করে দুটি অপ-মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় রামপাল চৌগারার পাড় মোঃ শহিদুল্লার পুত্র মোঃ মাহাবুব দুপুর ১টায় কিট নাশক পানে আত্মহত্যা করে। মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার পর ডাঃ তার ওয়াশ করার পূর্বেই জানান যে রোগীর অবস্থা তেমন ভালো না। পরবর্তীতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানালে আত্ম চিৎকারে হাসপাতাল এরিয়ার আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে উঠে। মুন্সীগঞ্জ একের পর এক হত্যা, আত্ম-হত্যা ঘটেই চলছে। বুঝার কোন উপায় নাই কোনটা হত্যা না আত্ম হত্যা। যেখানেই মাদক সেখানেই আত্মহত্যা-হত্যার মতো ঘটনার জম্ম হয়। এই নিয়ে সাধারণের নানা প্রশ্নের সৃষ্ঠি হয় বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।
অপর দিকে মিরকাদিম পৌর সভার মেয়র শাহিনের বাসা সংলগ্ন এলাকায় নৈদিঘির পাথর সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ইকফা আক্তার ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ব-হত্যা করেন । এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানূষের বক্তব্য যে বাড়ীতে স্বর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ব হত্যা করেন সেই বাড়ীটি একটি মাদকের আড্ডা স্থল । মৃত ইকফা আক্তারের বাবা মোঃ সিদ্দিক জানান, তার দুই মেয়ে ও একটি ছেলে । মোঃ সিদ্দিক মিয়ার দ্বিতীয় সন্তান। অনেকের ধারণা মাদক- সেবনের আখরা হিসাবে এই একায় হিজরা দিল রাজ ও তার ভাই রমজান এবং হিজরা সবুজ ঐ ঘরেই বেশির ভাগ সময় ইয়াবা সেবনের খদ্দের কে সুযোগ করে দিতেন। রাত ৮টায় ইকফা আক্তারের লাশ হাতিমাড়ার পুলিশ এসে উদ্দার করে।পুলিশের ধারণা ৪/৫ঘন্টা পূবেই মারা যায় বলে পুলিশ জানায়।
এমন বিষয় মৃত্য ইকফার বাবা জানান তার মেয়ে সহজ সরল, কোন আড্ডা বা জঞ্জাট পছন্দ করতেন না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । কেনো গলায় ফাঁস দিতে পারেন এমন প্রশ্নে জবাবে জানান, আমি সারা দিন কাজে ব্যস্ত, আমি কিছুই বোঝতে পারছি না।
মোঃ রমজান জানান, মোঃ সিদ্দিক মিয়া আমার খালু, তাহার দুই মেয়ে ও এক ছেলে , গলায় ফাঁসি দিয়েছেন এটাই সত্য তবে ইকফা ভালো মেয়ে ছিলো। তবে কেনো ভালো মেয়ে ফাঁসি দিলো এমন প্রশ্নে রমজান সহজ ভাষায় জানান, ফাঁসি তো ভালো মানুষেরাই দেয় বলে জানান।
এমন বিষয় হাতিমাড়া তদন্ত ফাঁড়ি ইনচার্য সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, নৈদিঘির পার এলাকা মাদকের হাট। ইকফা আক্তার মায়ের সাথে অভিমান করে লেখাপড়া নিয়ে। তবে মাদকের আড্ডা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে স্থানিয়দের সাথে নিয়ে মাদক মুক্ত অভিযান করবো। মাদকের সাথে আত্ব-হত্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সাইফুল ইসলাম সবুজ। যেহেতু অপমৃত্যুর বিষয় কোন বাদী হবে না তাই ছুরত হাল করেই বাদে ছুরত হাল করে উর্দ্দতন কতৃক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দাফনের বিষয় হস্তান্তর করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ ভয়েজ ডট কম
মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দুই আত্ম-হত্যা
Spread the love
Follow us