চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন বাড়ি গিয়েছিলেন কিন্তু পরে ঢাকায় ফিরে আর চাকরিটি ফিরে পাননি তিনি।
আসার পর জানলাম আমিসহ অনেককে ছাঁটাই করছে। অথচ কারখানা বন্ধ করে দেয়াতেই বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কারখানা খুলে অনেকরে জানায় নাই। যাদের জানায় নাই তাদের পরে সময়মত আসে নাই বলে ছাঁটাই করছে,বলছিলেন । বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে নানা খাতের কারখানা কিংবা নানা ধরণের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী ছাঁটাই, বেতন কমিয়ে দেয়া, টার্মিনেশন, পদত্যাগে বাধ্য করা কিংবা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের খবর শিরোনাম হয়েছে গত কয়েক মাসে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় পঁচিশ হাজার শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় করে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আবার বেশ কিছু ব্যাংক ঘোষণা দিয়েই কর্মীদের বেতন কমিয়েছে। শুধু বেতনই নয় ব্যাংক মালিকেরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেনটিভ বোনাস আগামী দেড় বছর বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন যা কিছু ব্যাংক বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নিয়েছে। আবার করোনা কালের সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে কিছু করপোরেট ধারার ব্যবস্থাপনায় চলে এমন কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানও কর্মী ছাটাই, বেতন কমিয়ে দেয়া কিংবা বোনাস কম দেয়া এমনকি কর্মীদের পদত্যাগে চাপ দিচ্ছে- এমন খবরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে জোরে শোরে। কিন্তু ছাটাই, পদত্যাগে বাধ্য করা কিংবা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক- এসবের মানে কী? একটির সাথে আরেকটির পার্থক্যই বা কী?
Follow us