শাহ সিমেন্টের শত কোটি টাকার সম্পত্তি দখল!
স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ পশ্চিম মুক্তারপুরে দেওয়ান কোল্ড স্টোরেজের স্বত্তাধিকারী প্রয়াত আবুল হাশেম দেওয়ানের ১৪০ কোটি টাকার সম্পত্তিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফ্যাক্টরী নির্মাণ কাজ করে চলেছে শাহ সিমেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে দেওয়ান কোল্ড স্টোরেজের প্রায় দেড়শ কোটি টাকার সম্পত্তি মুঠোবন্দি করে রেখেছে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী। সেখানে ফ্যাক্টরী ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ অমান্য করে ইতিমধ্যে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর মালিক পক্ষ বিরোধপূর্ণ ৪৬ বিঘা সম্পত্তিতে ফ্যাক্টরী ভবনের কাজ দ্রুত সেরে ফেলছেন। সোমবার রাতে সেল ফোনে কথা বলে প্রয়াত আবুল হাশেম দেওয়ানের ছোট ছেলে আলী আহম্মদ দেওয়ান সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ন ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই ৭২ নং মৌজার ৪৬ বিঘা সম্পত্তির পৈত্রিক মাীলক তার বাবা প্রয়াত আবুল হাশেম দেওয়ান। যার অনুমান মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা।
ওই সম্পত্তি নিয়ে মুন্সীগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় আদালতে উভয় পক্ষকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ অবস্থায় শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ সেখানে ফ্যাক্টরী করার লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ কাজ করছে। ইতিমধ্যে ফ্যাক্টরী ভবনের ৬০শাতংশ কাজও শেশ করে ফেলেছেন শাহ সিমেন্ট। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় প্রয়াত আবুল হাশেম দেওয়ানের পরিবারের পক্ষে আম মোক্তার মো. মিজানুর রহমান ভবন নির্মাণের বিপক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিখিত পত্র দায়ের করেন। ওই লিখিত পত্রের সূত্র ধরে গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সময় শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর প্রকৌশলী, সুপার ভাইজার, সেফটি ইনচার্জ ও শ্রমিকসহ ৮জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই দিনগত রাতে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী ওই সম্পত্তিতে আর ভবন নির্মাণের কাজ করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে আটক ৮ কর্মকর্তা মুক্ত হন। কিন্তু তারপরও শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষের ওই সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ কাজ থেমে নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রয়াত আবুল হাশেম দেওয়ানের ছেলে আলী আহম্মদ দেওয়ান।
তিনি বলেন, শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে আদালতে দেওয়ানী মামলা চরে আসছে। আদালত থেকে সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষকে ভোগ দখল না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং উভয় পক্ষকে কোন প্রকার কাজ বা কোন প্রকার কিছু না করার আদেশ দেন। এই আদেশ না মেনে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কয়েক দফা কাজ করছিল। এমতাবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে পুলিশ শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ৮কর্মকর্তা কর্মচারীকে আটক করে।
আমাদের পরিবার বিরোধ নিষ্পত্তি চায়। তাই আটক করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ না নিয়ে মুচলেকার বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
অথচ শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী ওই সম্পত্তিতে ফ্যাক্টরী ভবন নির্মাণ কাজ করেই চলেছে। ইতিপূর্বে সেখানে ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাকী ৪০ শতাংশ কাজ করতে কোন প্রকার কর্ণপাত করছে না শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী। এ বিষয়ে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী। এ বিষয়ে শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তথ্য সূত্র: সভ্যতার আলো