(শেষ পর্ব)
শেখ আলী আকবরঃ বর্তমানে হিজড়ারা মাদক ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন সংস্থাসহ আইনশৃংক্সখলা বাহিনী ও এদেরকে ঘাটাতে সাহস পায় না। বিধায় এরা নির্ভীনে মাদকের ব্যবসা ও চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এক শ্রেণির কুরুচির যৌন বিক্রিত পুরুষের বিক্রিত পন্থায় যৌনাচরণ ও হিজড়াদের পল্লীতে মাদক সেবন সহ বিক্রিত যৌন সুখ লাভ করে থাকে। ফলে তারা এইডস এর মতো মরণবেধী ছরাচ্ছে।
হিজড়া নারী ও পুরুষ উভয় শ্রেণিরই হয়। তবে আসল হিজড়ার সংখ্যা খুবই কম। বিনা শ্রমে সহজ পন্থায় জোড় পূর্বক চাঁদা বাজিঁর মাধ্যমে সহজেই বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে বিলাশ বহুল জীবন যাপনের লোভে অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে হিজড়া হচ্ছে। অনেকেই আবার হিজড়া সাজে। কারণ হিজড়াদের কেউ ঘাটাতে সাহস পায় না। এদের মুক্ষম ও প্রধান অস্ত্র হচ্ছে নির্জলতা। কেউ কিছু বললেই কাপড় উঠিয়ে অশ্লীলভাবে অঙ্গবঙ্গী ও অসভ্য ভাষায় গালাগালী শুরু করে যেকারনে আইন শৃংক্সখলা রক্ষা কারী বাহিনী সহ সবাই মান সম্মানের ভয়ে এদের হাতে সহজেই পরাস্থ হয়। যদি হিজড়াদের আস্তানায় ঠিক মত তাল্লাশী চালানো হয় তবেই বুঝা যাবে কতজন আসল হিজড়া আর কতজন নকল।
আমাদের সমাজের মানুষের এদের বিষয়ে অনিহা ও হিজড়া সন্তান জন্মগ্রহনকারী পরিবারের অহেতুক লোক লজ্জার ভয়েই হিজড়ারা কর্মবিমুখ। হিজড়ারা শুধু যৌন প্রতিবন্ধী। এছাড়া তারা অস্বাভাবিক মানুষ এবং কর্মক্ষম।
অনেক ঘরেই কানা, লেংড়া, আতুর, বিকলাংঙ্গ, মুখ ও বধির এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সন্তান জন্মগ্রহন করে থাকে। কিন্তু এদের বিষয়ে সমাজে কোন উচ্চ বাচ্চ বা লজ্জা জনক কোন বিষয়ে কথা উঠে না। তবে হিজড়াদের বেলাই কেন সমাজের এই অহেতুক লোক লজ্জা ভয়? তাই এখন প্রয়োজন আইন করে কারো সন্তান হিজরা পল্লীতে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। এরা যাতে সমাজে অন্যদের মতো অস্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তাছাড়া যাতে আগামীতে কাউকে হিজড়াদের দলে ভিড়াতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যারা বর্তমানে হিজড়া বা নকল হিজড়া হিসেবে চাঁদা বাজি করছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে হিজড়াদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা এরা আগমীতে সমাজের জন্য এক ভয়বহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
Follow us