(দ্বিতীয় পর্ব)
শেখ আলী আকবরঃ পূর্বে হিজড়াদের মধ্যে দুটি গ্রুপ ছিল। একটি আসল হিজড়া আর একটি নকল হিজড়া। তবে আসল হিজড়ার চেয়ে নকল হিজড়াই দলে ভারী। নিতান্ত গরীব, নেশাখোর ও পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এবং যেখানে সেখানে শুয়ে থাকা বেকার পুরুষদের নানা ভাবে প্রলুদ্ধ করে অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়া বানানো হয়। ডাক্তার নামধারি এক শ্রেণির লোভী মানুষ প্রচুর অর্থের লোভে এ কাজ করে থাকে অনেকে আবার হিজড়া না হয়েও হিজড়া সেজে দল ভারী করে। এসব হিজড়াই দলে ভারী। এক সময় নকল হিজড়া ও আসল হিজড়াদের মধ্যে অনেক দ্বন্ধ ছিলো। এবং উভয় দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রচুর মারামারি ও হতো। হালে উভয় দলের মধ্যে মিমাংসা হবার পর এখন উভয় দল ই অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই বর্তমানে হিজড়ারা কাউকে তোয়াক্তা করেনা। এরা প্রতি মাসে নিয়মিত চাঁদা তোলা ছাড়াও ঈদ, পূজা, বিয়ে, খাৎতা ও জন্মদিন সহ নানা উৎসবে দলে দলে গিয়ে চাঁদা তোলে থাকে। এক্ষেত্রে ঈদ ও পূজা উপলক্ষ্যে নিধার্রিত মাসিক চাঁদার চেয়ে বখশিস এর নামে বহুগুণ চাঁদা দাবী করে থাকে।
আর বিয়েতে নিতান্ত গরীব ছেলে মেয়ের বিয়েতে সর্বনিম্ন পাঁচ (৫) হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। এদের দাবী মতো চাঁদা দিতে না চাইলে তারা পরনের কাপড় তুলে নানা অশ্লিল ভাষায় গালাগালি সহ অশ্লিল ভাবে অঙ্গবঙ্গী করে মানুষকে বিব্রত করে তোলে তাই মানুষ এদের কাছে অসহায়। এদের চাহিদা মত চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। এদরে প্রধান অস্ত্র হচ্ছে জঘন্য নির্লজতা। কারো ঘরে কোন সন্তান জন্ম নিলে তারা বাড়ির পুরুষ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে নবজাতককে আর্শিবাদ করার ছুতায় কোলে নিয়ে নাচানাচি করে বিরাট অঙ্কে চাঁদা দাবী করে থাকে এবং কেউ তা অস্বীকার করলে তার নবজাতককে ফেরত না দিয়ে নিয়ে চলে যাবার হুমকি দেয় এবং বলে আমরা তোর বাচ্চাকে নিয়ে যাব। ওকে ও আমাদের মত হিজড়া বানাবো। তখন বাড়ির মহিলারা ভয়ে নানা কাকোতি মিনতি করে একটি নির্ধারিত অঙ্কের মাধ্যমে শুরাহা করে হিজড়াদের হাত থেকে রেহায় পায়। এদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন কঠোর ব্যবস্থা না থাকায় এরা ক্রমর্সই দুর্ধষ্য হয়ে উঠছে। এরা কোন কিছুকেই পরোয়া করে না। কেউ কিছু বললে দল বেঁধে এসে হামলা করে। (চলমান)
মুন্সিগঞ্জ ভয়েজ ডট কম
Follow us