শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :  ১৮৯২ সালে মুন্সীগঞ্জে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ও তাঁর স্বামী আলবার্টের নামে আলবার্ট ভিক্টোরিয়া হায়ার ইংলিশ স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনে অর্থ-কড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যতীন্দ্র মোহন। সম্ভবতঃ ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ের সাথে যতীন্দ্র মোহন বাবুর নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তখন থেকে বিদ্যালয়ের নামকরণ হয় আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন স্কুল। ১৯৬৭ সালে জাতীয়করণ হলে বিদ্যালয়টি আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামধারণ করে।
শিক্ষার মান উন্নয়নে ঐতিহ্যবাহী  আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্রমোহন সরকারি বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১১মে  সকাল ১০টায় আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্রমোহন সরকারি বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ে সেমিনার কক্ষে  এই মতবিনিময় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্রমোহন সরকারি বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নূরে আলমের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়টি সহকারী শিক্ষক মনোরঞ্জন ধর এর সঞ্চালনায় অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মাহবুব আলম লিটন, জাহাঙ্গীর আলম , খাদিজা আক্তারসহ আরো অনেকেই।
এ সময় তারা  বলেন শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানুষ হিসেবে তৈরির প্রয়োজনে মা–বাবাকে শিক্ষকগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ভালো ফলাফল অর্জন ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে সন্তানদের রাষ্ট্র ও বিশ্বকে উপহার দেয়ার জন্যে অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার নুরুল আমিন খান,টঙ্গীবাড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এন বি এম মাহবুব আলম,  সহকারী প্রধান শিক্ষক রুবিয়া আক্তার, শামসুল আলম সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ।
 সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন  শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন দেয়া যাবেনা।
শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি বাকি সময়টুকু কোথায় যাচ্ছে, কি করছে সে দিকেও অভিভাবকগণ যেন খেয়াল রাখে। এছাড়াও পড়াশুনার পাশাপাশি কিভাবে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটবে সেই দিকে নজর রাখতে হবে শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীরই শুধু নয়, যোগাযোগ থাকতে হয় অভিভাবকদেরও। অভিভাবকরাও নানা পরামর্শ দিতে পারেন শিক্ষার মানোন্নয়নে। কিংবা বিদ্যালয়ের নানা অসংগতি অনেক সময় অভিভাবকদের চোখেই হয়তো ধরা পড়ে। সে জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও সম্পর্ক থাকতে হয়।
বিদ্যালয়ের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্ক জুড়ে দিতে পারে অভিভাবক সভা। শিক্ষার্থীর মানোন্নয়নের জন্য অভিভাবক-বিদ্যালয় মতবিনিময় বেশ জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *