এজেন এক স্বপ্নের বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা

এজেন এক স্বপ্নের বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা
কাজী বিপ্লব হাসান: সারাদেশের মতো শহীদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জেও দেয়ালীকা অঙ্কন করছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন ¯েøাগান লিখনিতে তুলে ধরা হয়। এজেন এক স্বপ্নের বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা।
সদর থানা ও ট্রাফিক কার্যালয় পরিষ্কারে শিক্ষার্থীরা
মুন্সীগঞ্জে পুড়িয়ে দেওয়া সদর থানা ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় পরিস্কার করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এ পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী দলে দলে থানা প্রাঙ্গণে ও ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় পরিস্কারে কাজ করছেন। এ সময় পুড়ে যাওয়া নথিপত্রসহ কার্যালয় দুইটিকে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করে তারা। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাফক ব্যবস্থাপনার কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত ৫ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ সাদর থানা ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকে এতদিন থানা বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। বন্ধছিল দুইটি প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বার্থে এসব প্রতিষ্ঠান দ্রæত চালু হওয়া দরকার। তাই তারা পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিয়েছে। পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে।
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক দিন যাবত পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে টোলপ্লাজার কাছে খানবাড়ি এলাকায় তারা এ দায়িত্ব পালন করে। প্রখর রোদের মধ্যে সরকারি লৌহজং কলেজ, পাশর্^বর্তী সরকারি শ্রীনগর কলেজ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন কলেজÑবিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত লৌহজং উপজেলার ৩০ জন শিক্ষর্থী অংশ নেয়। বৈষম্যবিরোধী সমন্বয় কমিটির ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী আল ফাহাদ সিহান, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে মো. সোলাইমান, আকাশ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে মো. শুভ, শ্রীনগর সরকারি কলেজের ফারজানা আক্তার রিমু, লৌহজং সরকারি কলেজের আরাফাত চৌধুরি লিয়ন সহ তারা ট্রাফিক পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। গাড়ির কাগজপত্র যাছাইÑবাছাই ও মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরিধানে উদ্বুদ্ধ করে। হেলমেট পড়ে না থাকলে তাদের সাময়িক শাস্তি হিসেবে ৫-১০ মিনিটের জন্য বসিয়ে রাখা হয়।
সড়ক পরিচ্ছন্ন ও ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় প্রখর রোদে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন রাস্তায় ময়লা পরিস্কার করতেও দেখা যায়। গত কয়েক দিন থেকে উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, জামালদী বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রখর রোদের মধ্যে সহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের। শিক্ষার্থীরা জানায়, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে নেই। তাছাড়া সড়কে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও করছে না। তাই আমরা রাস্তা পরিস্কার ও গাড়ি চলাচলের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, ছাতাবিহীন মাথায় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে কোন সুরক্ষা ছাড়াই সডকের মধ্যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন তারা। বর্তমানে মহাসড়কে যানজট নেই, পাশাপাশি সড়কগুলোতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করতে পারছেনা বা যত্রতত্র গাড়ি পাকিং করতে দিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। পুলিশ যা করতো তার চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের নির্দেশ নিয়ম মেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে চালকদের। কোনো রকম ছাড় দিচ্ছে না তারা। ঠিক একই রকম ভাবে সদর উপজেলা সহ ৬টি উপজেলাতেই এই কাজ করছে শিক্ষার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *