খোয়া ফেলে খানাখন্দ ভরাট ও রোলার দিয়ে পিষে পিচ ঢালাই করা হবে

স্টাফ; খানাখন্দে ভরা মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকার সড়ক সংস্কারে কাজ চলছে। মুন্সীগঞ্জ পৌর প্রকল্পের আওতায়  কাচারি সোনালী ব্যাংক থেকে ঘনক পাড়াপযর্ন্ত রাস্তার মেরামত কাজ হচ্ছে, মানিকপুরের ১০তলা ভবনের কাছ থেকে শুরু করে সুপার মার্কেটের অঙ্কুরিত মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ এর ভাস্কর্য পর্যন্ত ১ম অংশ, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেডক্রিসেন্ট ভবন থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত ২য় অংশ এবং সুপার মার্কেট-থানা সড়ক হয়ে লিচুতলা এলাকার পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য পর্যন্ত ৩য় অংশ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা এই সংস্কারের

প্রকল্প হাতে নিয়েছে। খোয়া ফেলে খানাখন্দ ভরাট ও রোলার দিয়ে পিষে পিচ ঢালাই করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ট্রেডার্স। মুন্সীগঞ্জ পৌরবাসীর এই রাস্তা মেরামতের কাজ দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিবছরই যেন পৌরসভার এই রোডগুলোর মেরামত কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, সড়কের নিচে গ্যাসের লিকেজ পাইপ আছে, “মানিকপুর-হাসপাতালপাড়া একইভাবে সুপার মার্কেট-থানা রোডেও ১০০ মিটার পর্যন্ত গ্যাসের লিকেজ পাইপ রয়েছে। যার

কারণে আমরা বেশি গর্ত করে স্থায়ীভাবে যাবত আমরা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মেরামতের কাজ করতে পারছি না। ৪/৫ বছর জানিয়েও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। তারা লিকেজ পাইপের কোন সমাধান করছে না।” তিনি আরো বলেন, “অস্থায়ীভাবে এই মেরামত কাজ চলছে।৩ মাসের মধ্যেই এর সমাধান হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার রাস্তা টাকা। অথচ স্থায়ীভাবে রাস্তা মেরামত করতে হলে মেরামতের জন্য বাৎসরিক বরাদ্দ আছে ৮৫ লাখ

পাওয়া যাচ্ছে না । দরকার ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। এটা বরাদ্দ এরপর

তারপরও আমি মহা পরিচালকের বরাবর ২ বার আবেদন করেছি।” এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শাহ এমদাদ হোসেন বলেন, “কথাটি সত্যি। বেশ কয়েক বছর যাবত মুন্সীগঞ্জের কিছু এলাকার রাস্তায় গ্যাস পাইপ লিকেজ রয়েছে। আমি মুন্সীগঞ্জে যোগদান করেছি মাত্র ১ মাস হলো। এর মধ্যে আমি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে বলেছি। তিনি অনুমোদন দিয়েছেন লিকেজ পাইপ ঠিক করার।” তিনি আরো বলেন, “এ ব্যাপারে স্যার বলেছেন, যেসব জায়গায় পাইপের ফুটো রয়েছে তা লিস্ট করে কতটুকু পাইপের প্রয়োজন হবে তা জানাতে। এর মধ্যে আমি পাইপ লিকেজের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে নতুন কতটুকু পাইপ সংযোজন করতে হবে তা লিস্ট করে এমডি স্যারের বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি বাজেট বরাদ্দ করে টেন্ডারের মাধ্যমে কোন ঠিকাদারের কাছে কাজ শুরুর ঘোষণা দিবেন আগামী… মাসের মধ্যেই ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *