আবু সাঈদ দেওয়ান সৌরভ,মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক পথে গুরুত্বপূর্ন প্রবেশদ্বার হচ্ছে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের ধলেশ্বরী নদীর উপর মুক্তারপুর সেতু (৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু)। এ জেলার মানুষ এবং দেশের দক্ষিনাঞ্চালের প্রবেশদ্বার হিসাবে মুন্সীগঞ্জের এ মুক্তারপুর সেতুর গুরুত্ব ব্যাপক। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলা গুলোর ব্যবসা বানিজ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। মুক্তারপুর সেতুর প্রায় মধ্যবর্তী স্থানে কয়েক জায়গায় প্রায় বছর খানেক আগেই থেকেই তৈরি হচ্ছে ছোট ছোট গর্ত। যেগুলো ধীরে ধীরে বড় গতের্র আকার ধারণ করছে। গর্ত গুলো এমন জায়গায় তৈরি হয়েছে যেটা সেতুর টার্নি পয়েন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ফলে প্রায় সকল যানবাহন চলাচলের সময় গর্ত গুলোতে চাকা পড়ে একটা জাম্পিং এর সৃষ্টি হয়। এই জাম্পিং এর কারনে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। কিন্তু প্রায় বছর পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে মুক্তারপুর সেতুর সাইট অফিস কতৃপক্ষ কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। তাদের এই উদাসিনতার কারনে সেতু দিয়ে চলাচল করা কয়েক লাখ মানুষ ও যানবাহন মারাত্মক দূর্ঘটনার ঝুকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর সেতুর সাইট অফিসের সহকারী প্রকোশলী মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে মুক্তারপুর চৌ-রাস্তা পযর্ন্ত সড়ক মেরামত ও উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পযার্য়ক্রমে সেতুর উপরের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ও মেরামত করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় একজন প্রকোশলী জানান, যেহেতু গর্ত গুলো গুরুত্বপূর্ন টানিং পয়েন্টে এবং প্রতিনিয়তই ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। তাই বিলম্ব না করে, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা জুরুরী।
মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ ও পাশ্ববর্তী জেলা সমুহের মানুষের ভোগান্তি দূর করতে এবং দূর্ঘটনা হতে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহন করে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা।