মুন্সীগঞ্জে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ছাত্রদের আন্দোলনে অধ্যক্ষের পদত্যাগ
কাজী বিপ্লব হাসান: মুন্সীগঞ্জে একমাত্র সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কাটাখালি এলাকায় অবস্থিত। এই ট্রেনিং সেন্টারে ৫টি বিষয় ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, গার্মেন্টস ও ড্রাইভিং এর উপর ৩ থেকে ৬ মাসের উপর বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই ট্রেনিং এর সফলতা দ্বারা বিদেশে গিয়ে বিশেষ ভাবে উপকারি হওয়া যায়। ট্রেনিং থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিক্ষে নিতে পারে। ইদানিং এই টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাইছেন এই ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পত্র আনায়ন করেন।
তাদের অভিযোগ হলো অধ্যক্ষ – ১) ট্রেনিং এর জন্য পর্যাপ্ত মালামাল ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়না,
২) তিনি ছাত্রদের সাথে অসৎ আচরন করে,
৩) কিছু হলেই পুলিশ দিয়ে হুমকি দিয়ে জেলে দিবে বলে,
৪) তিনি মুন্সীগঞ্জের মানুষকে ঠকবাজ, বাটপার, পরকিয়ায় আসস্থ বলেন,
৫) তিনি অসুস্থতার কারন দেখিয়ে ঠিকমত অফিসে আসেনা,
৬) ছাত্রদের সামনে শিক্ষকদের অসম্মানজনক আচরন করেন,
৭) প্রিন্সিপাল কোয়াটারের হাউজ রেন্টের সরকারি ভাড়া এখন পর্যন্ত পরিষদ করেনি,
৮) ওয়াশরুম ব্যাবহারের অযোগ্য বারবার বলার পরও ঠিক করা হয়নি এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই,
৯) অঝঝঊঞ চৎড়লবপঃ নিয়ম অনুযায়ী পরিক্ষার সময় মালামাল নতুন করে দেওয়ার কথা এবং সুরক্ষা পোশাক দেওয়ার কথা, কিন্তু বাজেট পাওয়ার পরও তা দেওয়া হয়নি,
১০) তিনি শিক্ষার্থীদের অশিক্ষিত পরিবার থেকে আশা শিক্ষা পায়নি বলে গালমন্দ করেন,
১১) পিডিও নিয়ে অনলাই বানিজ্য করে,
১২) ক্লাসে ৩০ জন উপস্থিত থাকে কিন্তু প্রিন্সিপাল অনলাইনে ১০০ জন উপস্থিত দেখায়।
তাই শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ছিলো প্রিন্সিপাল ও তার হাসবেন্ডের পদত্যাগ চাই। বুধবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ, রায়হান, সাকিব, মিজান, মাহবুবুর রহমান, মারিয়া, আখি, আনিকা ও তৃষ্ণা সহ সকল শিক্ষার্থীরা দিনভর বিভিন্ন শ্লোগানে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়েছেন।
এ বিষয়ে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন। বেশিরভাগ ছাত্রই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে না। তখন আমরা কী করব? বাজেট অনুযায়ী সরঞ্জাম দেওয়া হয়। কিছু কম হতে পারে। ৫টি ইভেন্টে ট্রেনিং সেন্টারে মোট ১২ জন শিক্ষক রয়েছে। তারেদও অনেকের অসন্তুষ্টি রয়েছে অধ্যক্ষের উপর।
শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবিতে অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম ট্রেনিং সেন্টারের অপর শিক্ষক নাজমা আক্তার এর উপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে তিনি নিজে পদত্যাগ করেন।