আবু সাঈদ (সৌরভ) মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী শিক্ষা প্রতিষ্টানের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছে। সদর উপজেলার রামপাল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আলভি মাহমুদকে সভাপতি করা হয়েছে। এছাড়াও স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী অপূর্ব রহমান অপুকে মিরকাদিম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার সভাপতি বানানো হয়েছে। অপূর্ব “গলাকাটা অপূর্ব” হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তার নামে মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরকাদিম পৌরসভার কিল্লাপাড়ায় তার স্ত্রী সহিফাকে হত্যা করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিচারের দাবিতে ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মিরকাদিমবাসী বিক্ষাভ সমাবেশ করেছিলো। এছাড়াও শুধু হত্যা নয়, নেশা, নারীসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে অপূর্বের বিরুদ্ধে। গত ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবুল হাসেম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জামালের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৩ টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

স্থানীয় ছাত্রদল নেতা কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ থেকে এরা কিভাবে ছাত্রদের শীর্ষ পদ পেল-তা নিয়ে অর্থের বিনিময়সহ নানা প্রশ্ন ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিছুদিন আগে যে ছাত্রলীগের সদস্যরা মিছিল মিটিংয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শ্লোগানে দিয়ে মিছিল করেছে সেই লোকদের দেওয়া হয়েছে ছাত্রদলের সভাপতি পদ। কমিটির খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে ওঠেছে। পোস্ট করা হয়েছে ৫ আগষ্টের আগে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদলের স্থানীয় সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, সংগঠনে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী থাকতে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগকে টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলে নেওয়া হয়েছে। এরা বিএনপিতে এসেছে বড় ধরণের মিশন নিয়ে। ঢাকার মিটফোর্ডের মত ঘটনা তারাও ঘটাবে বলা যায় নি:সন্দেহে।
এই বিষয়ে আলভি মাহমুদ ও অপূর্ব রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল হাসেম জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পরামর্শক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে কোন টাকার লেনদেন হয়নি। আমার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
তৃণমূল ছাত্রদলের সদস্যরা প্রত্যাশা করে টাকার বিনিময়ে বহিরাগত হতে ছাত্রদল রক্ষা পাবে এবং ত্যাগী ও দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীগণ সঠিক মূল্যায়ন পাবে।
