কাজী: নামাজ ইসলামের অন্যতম প্রধান ইবাদত। ঈমানের পরেই যা পালনীয়। একজন মানুষের ঈমানের স্বীকৃতি দেয়ার পর প্রথম ইবাদত হলো নামাজ আদায় করা, যা ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। কুরআন এবং হাদিসে একাধিকবার নামাজ আদায়ের নির্দেশ এবং ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর জন্য তা পালনে রয়েছে দুনিয়ার কল্যাণ এবং আখেরাতের মুক্তি। এ কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামাজ আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি সুন্নত ও নফল নামাজ এবং এ নামাজের মাধ্যমে বেশি বেশি সেজদা আদায়ের নসিহত পেশ করেছেন । নামাজের জামাআতের ব্যাপারে রয়েছে জোর তাগিদ। আবার নফল ও সুন্নাত নামাজ নিজ ঘরে আদায়েরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের মুক্তিতে নফল নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই। হাদিসে এসেছে- হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে (ফরজ) নামাজ সম্পন্ন করে তখন তার উচিত সে যেন তার
নামাজের কিছু অংশ (সুন্নাত নামাজ) নিজের বাড়ির জন্য রাখে। কারণ বাড়িতে আদায় করা কিছু নামাজের মধ্যে আল্লাহ তাআলা কল্যাণ নিহিত রেখেছেন’ (মুসলিম)। হজরত যায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে মানবমন্ডলী! তোমরা নিজ ঘরে নামাজ আদায় কর। যেহেতু ফরজ নামাজ ছাড়া
মানুষের শ্রেষ্ঠতম নামাজ হলো নিজ ঘরে আদায় করা নামাজ।’ (নাসাঈ, ইবনে খুজাইমা, তারগীব) নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে বান্ধার সেতুবন্ধের অন্যতম মাধ্যম। ফরজ নামাজ ছাড়া অন্যান্য সুন্নাত ও নফল নামাজ নিজ ঘরে লোকচক্ষুর অন্তরালে পড়াই উত্তম। এ কারণেই হাদিসে পাকে সুন্নাত ও নফল নামাজ নিজ ঘরে আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ প্রদান করেছেন।
হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বাইহাকি ও সহিহ তারগিবে নিজ লোকচক্ষুর অন্তরালে নফল ও সুন্নাত নামাজ আদায়ের কথা উল্লেখ বলা করা হয়েছে। হয়েছে, ‘লোকচক্ষুর সম্মুখে (নফল) নামাজ পড়া অপেক্ষা মানুষের নিজ ঘরে নামাজ আদায়ের ফজিলত ঠিক ঐরূপ; যেরূপ নফল নামাজ অপেক্ষা ফরজ নামাজের ফজিলত বহুগুণ বেশি।”