মুন্সিগঞ্জে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত

জাহাঙ্গীর আলম:মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ও সংগঠনটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এশিয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মোঃ কাউসার আহমেদ সার্বিক সহযোগিতায়
দিবসটি উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট এলাকার মুন্সিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাব কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র‍্যালি বের করা হয়।

র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনলাইন প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ে সামনে এসে শেষ হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা মিনিটে দিকে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল হাসান তুষার,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পিংকি রহমান, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সিরাজ পাঠান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নবী, কোষাধক্ষ মোঃ কাদির খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মাসুম, সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ ।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই, তাই মানুষের মানবাধিকার যেন লুঙ্গিত না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে , যেখানে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এগিয়ে আসবে ।

উল্লেখ্য ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। ঘোষণাপত্রের ৩০টি অনুচ্ছেদে প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *