কাজী বিপ্লব হাসান: “এক ডোজ এইচ পি ভি টিকা নিন, জরায়ু মুখ ক্যান্সার রুখে দিন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (ঐচঠ) প্রতিরোধে টিকা দান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের এইচ পি ভি ক্যাচ আপ ক্যাম্পেইন-২০২৪, ১০ নভেম্বর হতে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর ও বাদ পড়া কিশোরীদের আগামী ১ মাস পর্যন্ত স্থায়ী অস্থায়ী ক্যাম্পে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এই টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মিলনায়তন কক্ষে সকাল ১০ টায় এক অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অ্যাডভোকেসি সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের ডি ডি এফ পি মো: মাজহারুল হক চৌধুরী, মুন্সীগঞ্জের এস পি অফিসের ডি এস বি আজিজুর রহমান ডি আই ও ১। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জসিম উদ্দিন ভূইয়া ও ডা. মল্লিকা সরকার, গজারিয়া উপজেলা মেডিকেল অফিসার মির্জা সাইদুল ইসলাম, সিরাজদিখান উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা, লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্যা কর্মকর্তা সিনথিয়া ফারহিম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ^াস, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর গাজী মো: আমিন, জেলা ই পি আই কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের এ ভি পি এইচ এন জাকিয়া সুলতানা ও পি ও রোজিনা বেগম।
উক্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ এখনো চলছে। এত মেয়েরা অল্প বয়সে মা হয়ে যায়। যার জন্য অল্প বয়সে সন্তান ধারনে জরায়ুতে চাপ বেড়ে যায়। এতে পরবর্তিতে মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আমাদের দেশে এই রোগে অনেক মা সন্তান প্রসবে অকালে প্রাণ হারায়। তাই সরকারি উদ্যোগে এই রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরিদের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদেরও বিনামূল্যে এই এইচ পি ভি টিকা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ^ব্যাপি বিজ্ঞানী দ্বারা পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর এই ভ্যাকসিন দিয়ে আসুন আমরা সবাই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এগিয়ে আসি। প্রতিটি অভিভাবকেরই তাদের মেয়ে সন্তানদের এই টিকা দানে সচেতন হতে হবে।