মোহাম্মদ জাফর ইকবাল:পলায়নকারী আওয়ামী সরকারের আমলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এটি বেরিয়ে এসেছে। তদন্ত কমিটি বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত অপচয়, অসঙ্গতি, দূর্বলতা, আর্থিক ক্ষতি, অসম চুক্তি, সুবিধাভোগী নির্বাচনে অচ্ছ্বতা, জনবল নিয়োগে অনিয়ম, অনৈতিকতা, একই কাজ বারবার করার মতো বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিত করেছে। তারা বলেছে, ২১টি প্রকল্পে এখনও প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে। এখনও উদ্যোগ নিলে রাষ্ট্রের এই বিপুল অর্থ বাঁচানো সম্ভব বলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
সূত্র মতে, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এর অধীন সংস্থা-দপ্তরগুলোতে ২০০৯ সাল হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেয়া ২১টি প্রকল্প মূল্যায়ন করে ১৩ সদস্যের ওই কমিটি। ৮ আগস্ট ওই কমিটি গঠন করা হয়। যার আহবায়ক ছিলেন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সরাসরি এই তদন্ত দিক-নির্দেশনা দেন। পরে এতে যুক্ত হন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফায়েজ আহমদ তৈয়ব।
তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে আমরা এই খাতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এরমধ্যে এই খাতে নেয়া প্রকল্পগুলোতেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খোঁজ মিলেছে। ডুপ্লিকেশন, ট্রিপলিকেশন হয়েছে। একটা কাজ হয়তো হয়ে গেছে আবার এই কাজটি করা হয়েছে। ৫ টাকায় যে কাজ করা যেত সেটি ওই প্রকল্পেই ২০ টাকায় করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও কাজই হয়নি। আমরা রাষ্ট্রের অর্থ ও সম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো কেটে দিচ্ছি এবং এগুলো হতে কীভাবে দেশ ও জনগণের সর্বোচ্চ লাভ হয় তা দেখছি’ উল্লেখ করেন তিনি।
যেসব প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, মোবাইল গেইম ও এ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প, দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে (১ম সংশোধিত), এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) (১ম সংশোধিত প্রকল্প, আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি) প্রকল্প, হাই টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প (১২টি জেলায়) (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি, শিবচর মাদারীপুরে প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, এস্টাবলিস্টমেন্ট অব বাংলাদেশ-ভারত সার্ভিস অ্যান্ড অ্যামপ্লয়মেন্ট ট্রেইনিং প্রকল্প, ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই) প্রকল্প, টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ) প্রকল্প, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, বিজিডি-ই-গভ সার্ট এর সক্ষমতা বৃদ্ধি (১ম সংশোধিত প্রকল্প), সরকারের ভিডিও কনফারেন্সিং প্লাটফর্ম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, ডিজিটাল সিলেট সিটি, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (২য় পর্যায়) ও হার পাওয়ার প্রকল্প প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত)।
জানা গেছে, তদন্তে প্রকল্পগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু অঙ্গ ও কার্যক্রম প্রকল্পের উদ্দশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং অপ্রয়োজনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলমান প্রকল্পের এমন অঙ্গ ও কার্যক্রম বাদ দেওয়া প্রয়োজন মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে। এসকল অপ্রয়োজনীয় অংশ প্রকল্পের হতে বাদ দিলে সরকারের ৬ হাজার ৯৮১ কোটি ১৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হতে পারে। এমন অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে যা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বের আওতায় পড়ে না। এ ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে অর্থের অপচয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ও অন্যান্য নির্মাণ প্রকল্পে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ করায় জমি কেনা বাবদ অর্থের অপচয়, অধিক ভূমি উন্নয়ন ব্যয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রশস্ত, অতিরিক্ত উচ্চ ও অতিরিক্ত অবকাঠামো যেমন আইটি ট্রেনিং সেন্টারে গুদাম নির্মাণ করে উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থের অপচয় করা হয়েছে। সকল অধিদপ্তর ও সংস্থা হতে একই প্রকার কাজ যথা ট্রেনিং সেন্টার, ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পে নেওয়া হয়েছে। এসবে প্রতীয়মান হয় বিসিসি, অধিদপ্তর ও হাইটেক পার্কের কর্ম বিভাজন নেই এবং সকলে একই প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদন্তে আরও দেখানো হয় যে, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যে সকল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে হয়েছে তা পরিচালনার জন্য দক্ষ প্রশিক্ষক ও সহায়ক জনবলের প্রস্তাব রাখা হয়নি। ফলে এসকল ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনার সুনিদিষ্ট রুপরেখা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেএে তিনটি ফেজ এ ৪৭ টি ট্রেনিং সেন্টার নির্মানের কার্যক্রম একএে না নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন স্থানে এ ধরনের সেন্টার নির্মাণ করে তার সাফল্য পাওয়া গেলে একই প্রকারের প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে সম্প্রসারিত করা সমীচীন হতো। নারীর ক্ষমতায়ন ও অনুদান প্রদানের ক্ষেএে সুবিধাভোগী নির্বাচন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করা হয়নি। বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা চুক্তি না করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করা উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত শৃংখলার পরিপস্থী। বৈদেশিক সাহায্য না পাওয়া গেলে উক্ত অর্থ কীভাবে সংগ্রহ করা হবে তা নির্দিষ্ট নেই। এতে জিওবি অংশের খরচ করার পর অবশিষ্ট বাস্তবায়ন বিঘিœত হবে। কতিপয় প্রকল্পের অধীন ল্যাব, অ্যাপ , প্লাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে যা ব্যবহার হচ্ছে না।
তদন্ত কমিটি পাঁচিট সুপারিশ তুলে ধরেছে। সেগুলো হলো, বিভিন্ন প্রকল্প পর্যালোচনা করে কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত, প্রকল অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রকল্পের স্কোপ থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থ গ্রহণ। প্রকল্পের সৃষ্ট সুবিধা স্থায়ীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমাপ্ত হবার পূর্বে গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর এখতিয়ারের আওতা সুনিদিষ্ট করতে হবে। অডিট আপত্তিসমূহ জরুরিভিত্তিতে প্রকল্প সমাপ্তির পূর্বে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন এবং বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা চুক্তি সম্পাদিত না হলে সহয়তার আওতায় প্রাক্কলিত কাজসমূহ প্রকল্পের স্কোপ হতে বাদ দেয়া।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে তথ্যপ্রযুক্তিখাতের অনিয়ম অনুসন্ধান সংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ অনুসন্ধান প্রতিবেদন ফাইলবন্দি হয়ে থাকবে না। এ প্রতিবেদনের আলোকেই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া তথ্যপ্রযুক্তিখাতে চলমান ২১টি প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করে এখনও প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যাবে। তথ্য প্রযুক্তি সচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা (সাবেক) সজীব আহমেদ ওয়াজেদ ও এ বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বিভিন্নভাবে অর্থের ভাগ নিতেন। আইসিটি বিভাগের কেনাকাটায় অনিয়ম দুর্নীতিতে যারা জড়িত জানুয়ারি থেকে তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সাড়ে ১৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবু ডিজিটাল সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্নীতি কমানো, মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়ন, আইসিটি সেবা রপ্তানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আইসিটি বিভাগের হিসাবে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভাগটি ৫৩টি প্রকল্প ও ৩৪টি কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে ২২টি প্রকল্প এখনো চলমান। বাকিগুলো বাস্তবায়ন শেষ। সব মিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ডিজিটালাইজেশন-সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেওয়া প্রকল্পের ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আইসিটি খাতে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেগুলোর তেমন কোনো সুফল নেই। সম্ভাবনার নামে ‘গালগল্প’ শুনিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনেক দেশ বাংলাদেশের মতো ডিজিটাল দেশ গঠনের স্লোগান দেয়নি, এত বিপুল ব্যয়ও করেনি। তারা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (ইজিডিআই) ২০২৪এ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। এ সূচকে ভারত (৯৭), শ্রীলঙ্কা (৯৮) ও মালদ্বীপ (৯৪) বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। ইন্টারনেটের গতি, ডিজিটাল জীবনমান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও ফ্রিল্যান্সিংয়েও সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের রূপকল্প ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া শুরু হয়। বিভিন্ন সূচক দেখলে বোঝা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত সুযোগ-সুবিধা দেশের জনগণ পাননি। বরং এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বেসিসের সাবেক সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, ১৫ বছরে আইসিটি খাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দলীয় কিছু প্রতিষ্ঠান আর ব্যক্তির উন্নতি হয়েছে। খাতটি প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে পারেনি। তিনি বলেন, আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার রপ্তানি আয়ের গল্প শোনানো হয়েছিল, তা ১ বিলিয়নও নেওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে একটি ভয়াবহ লুটপাট ও অপব্যবস্থাপনার খাত হিসেবে পরিচিত করিয়ে দিয়ে গেছে। তাদের অপকর্মে দেশের ডিজিটাল ইকোনমি এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতিও নাজুক হয়েছে। তিনি বলেন, বেপরোয়া দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে গণভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্তির পরে এই খাতের অপখরচ ও মেগা দুর্নীতি থামানোর জন্য যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছি।